জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও পারিবারিক রেশন কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে অর্ধশতাধিক গরীব-অসহায় মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার নিজামকান্দি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মিল্টন ফকিরের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোরীরা।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিজামকান্দি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিল্টন ফকির অসহায়, দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও পারিবারিক রেশন কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে অর্ধশতাধিক মানুষের কাছ থেকে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। তিনি টাকা নিয়ে ভাতা ও কার্ড না করে দিয়ে ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। টাকা চাইতে গেলে নানা তালবাহানা করছেন। এমনকি ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।
ভূক্তভোগী যমুনা বেগম (৬৫) বিডিনিউজ ১০ ডটকমকে জানান, মিল্টন ফকির বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে অফিস খরচ বাবদ তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কার্ড করে দেননি। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তিনি নানাভাবে হুমকি দেন। একই অভিযোগ করেছেন ওই ওয়ার্ডের বিধবা নাদিরা বেগম।
এ ছাড়া ফাতেমা বেগম, বতু মোল্যার কাছ থেকে ভাতার কার্ড দেয়ার কথা বলে এক বছর আগে টাকা নিয়েছেন ইউপি সদস্য মিল্টন ফকির। এখন পর্যন্ত তাদের কাউকে কার্ড দেননি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মিল্টন ফকিরের সাথে কথা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বিডিনিউজ ১০ ডটকমকে বলেন, ‘এলাকার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এর আগেও আমাকে নানাভাবে হয়রানী করেছেন তারা।’
নিজামকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী নওশের আলী বিডিনিউজ ১০ ডটকমকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমার কাছে কোন অভিযোগও করেনি। তবে শুনেছি ভাতার কথা বলে লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগে ইউএনও স্যারের কাছে একটি অভিযোগ হয়েছে।’
এ বিষয়ে ইউএনও মেহেদী হাসান বিডিনিউজ ১০ ডটকমকে বলেন, ‘ইউপি সদস্য মিল্টন ফকিরের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
লিয়াকত হোসেন লিংকন